দৃষ্টিভঙ্গি বদলালেও নারীর প্রতি বৈষম্য কমেনি

শাহীন মাহমুদ রাসেল :

বর্তমানে বেশিরভাগ পরিবারে নারীর প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি বদলালেও সমাজে নারীর প্রতি রয়ে গেছে বৈষম্য। নারীদের প্রতি পদে পদে সহ্য করতে হচ্ছে কটাক্ষ। নারী নেত্রীরা বলছেন, নারী পুরুষ সমতা অর্জন করতে হলে নারীকে মানুষ হিসেবে মূল্যায়নের পাশাপাশি সমাজ থেকে কুসংস্কার দূর করতে হবে।

মাধুর্য নামের এক মেয়ে। নাচ, গান পিয়ানো বাজানো থেকে শুরু করে খেলায় ধুলায়ও সমান পারদর্শী তিনি। আর এসব কিছুই সম্ভব হয়েছে তার পরিবারের কারণে। মেয়ে বলে কখনই পরিবার থেকে মাধুর্যকে কম প্রাধান্য দেয়া হয়নি। কিন্তু পরিবারের বাইরে ঠিক বিপরীত পরিবেশ।
মাধুর্য বলে, হঠাৎ করে যখন ‘মেয়ে, এটা করছে কেন’ এই ধরণের কোন মন্তব্য কানে আসে তখন সেটা নিয়ে খারাপ লাগে।
নারী পুরুষ সমান অধিকারের কথা বলা হলেও নারীর প্রতি সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি এখনও অপরিবর্তিতই রয়েছে।

তবে এ ক্ষেত্রে নারীকেই তার ক্ষমতায়ন নিশ্চিতে সোচ্চার হতে হবে বলে মনে করছেন সমাজে প্রতিষ্ঠিত নারীরা।
গণপরিবহন থেকে শুরু করে মহাকাশযাত্রা কোনটাই সহজসাধ্য নয় জয়িতাদের জন্য। বন্ধুর এই চলার পথে পরিবারই হতে পারে সব বাধা ডিঙ্গানোর প্রথম সোপান।
বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি আয়েশা খানম বলেন, বাংলাদেশের মেয়েরা অনেক এগিয়ে গেলেও তাদের এখনো বহু পথ পাড়ি দেয়া বাকি।
এদিকে নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে আইন থাকলেও বাস্তবায়নের অভাবে তা অনেকটাই অকার্যকর বলে মনে করছেন নারীদের নিয়ে কাজ করা সংগঠনগুলো।
ব্র্যাক জনসংযোগ বিভাগের পরিচালক মৌটুসি কবির বলেন, নারীর প্রতি সহিংসতাকে মোট বারোটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে।

নাটক, চলচ্চিত্র, বিজ্ঞাপনেও নারীকে নেতিবাচকভাবে উপস্থাপন করা হচ্ছে বলেও এ গবেষণায় উঠে আসে।
রাজনীতি থেকে ক্রীড়াঙ্গন, উচ্চশিক্ষা থেকে মহাকাশ পর্যন্ত সবখানেই নারী তার যোগ্যতায় সফল। তাই এবারে নারী দিবসের প্রতিপাদ্যের সাথে সুর মিলিয়ে বলা হোক নারীর প্রতি বৈষম্য নয় সমতার ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত হোক সমাজ এগিয়ে যাক দেশ।